কালবৈশাখী ঝড়ে দিনাজপুরে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ভূপেন্দ্র নাথ, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ভয়ঙ্কর এ কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হয়।
ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পাকা ২৮ব্রি ধান, ভূট্টা, পাটক্ষেত, সবজি ক্ষেতে প্রচুর শিলা বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে। পাট ক্ষেতের চারা পাট গাছের মাথা ছিন্ন হয়ে ঝড়ে গেছে শিলা বৃষ্টিতে এবং পাট গাছগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে দিনাজপুরের দশমাইল, সেতাবগঞ্জ, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর এবং ভুট্টার জন্য বিখ্যাত খানসামা উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বৈরি আবহাওয়ার কারণে ভুট্টার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ভুট্টার মোচা এখনও পুরোপুরিভাবে সংগ্রহ করা হয়নি। অনেক কৃষক ঝড়ানো ভুট্টা চাতালে শুকাতে দেয়। সেগুলোও এই বৃষ্টিতে ভিজে যায়।
খানসামা পাকেরহাটের কৃষক মানিক, চিরিবন্দরের অবিনাশ, মনতাজুল বলেন, একে তো ব্লাষ্ট রোগে ধানক্ষেত নষ্ট তার উপর শিলা বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি, কী করে আমরা পুষিয়ে নেবো তা বড় চিন্তার বিষয়।
এছাড়া দুর্যোগের কারণে অনেকে এবার ধান, চাউলের বাজার মূল্য বৃদ্ধিরও আশঙ্কা করছেন।
খানসামার টংগুয়া গ্রামের বসুনিয়ার পুত্র তোফাজ্জল ও ভেড়ভেড়ী গ্রামের আনিসুর জানান, শিলা বৃষ্টির কারণে ঘরের পুরাতন টিন ভেদ করে শিলাগুলো ঘরের মধ্যে পড়েছে ও ঝড়ে গেছে গাছের লতা পাতাও। অন্যদিকে চারা পাট গাছগুলো ভেঙে পানিতে ডুবে গেছে।
বীরগঞ্জের ভবতরন নামে এক কলেজ শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এবারের থেমে থেমে বৈরি আবহাওয়া এবং কালবৈশাখী ঝড়ে কৃষকেরা তাদের মাঠে ফলানো ফসল ভালোভাবে ঘরে তুলতে পারবে কিনা এ নিয়ে তাদের শংকার শেষ নেই।
রানীরবন্দর এবং পুলেরহাটের কিছু লোকের মধ্যে পুলিন, নিরান, কোদাই বলেন, গতকালের প্রচন্ড ঝড় এবং বজ্রপাতে তাদের বাসার টিভি, লাইট এবং বৈদ্যুতিক তারের সমস্যা হয়েছে। এর মধ্যে নিরান পাকেরহাটে টিভি মেকারের কাছে নিয়ে গেলে মেকার জানায়, বজ্রপাতে অতিরিক্ত বিদ্যুতে লাইন অন থাকার কারণে এগুলো নষ্ট হয়েছে।